প্রকল্প সমূহ

পরিধানযোগ্য প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দূরবর্তী রোগীর পর্যবেক্ষন ব্যাবস্থা উন্নত করা
অনলাইনে স্থায়ী বাসিন্দা সনদ

এসএমএস এর মাধ্যমে নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য চিহ্নিতকরণ


জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সার, কসমেটিক্স, পানীয়, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল পার্টস, প্লাস্টিক পণ্যসহ অনেক ভেজাল জিনিসে বাজার সয়লাব হয়ে আছে। এ প্রকল্পে পণ্যের গায়ে জুড়ে দেওয়া ইউনিক হিডেন র‌্যান্ডম নাম্বার (Unique Hidden Random Number) সংযুক্তির প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করা হবে। যা স্ক্র্যাচ করে এসএমএস পাঠিয়ে পণ্যটা আসল নাকি নকল তা জানা যাবে।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

নকল-ভেজাল-মেয়াদউত্তীর্ণ জিনিস বা পণ্যে মার্কেট ছেয়ে গেছে। বাজারে এমন কিছু নেই যা নকল হয়না। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ থেকে শুরু করে সার, কসমেটিক্স, পানীয়, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল পার্টস, পাইপ, প্লাস্টিক পণ্য, সিমেন্ট, ভুয়া ডাক্তার, ভুয়া পুলিশ, ন্যাশনাল আইডি কি নেই নকলের মধ্যে? কৃষিজ উপকরণ ও পণ্যের গুণগত মান, নকল-ভেজাল-মেয়াদউত্তীর্ণ নিয়ে নানা নেতিবাচক খবর শোনা যায়। নকলের সাথে সাথে আরও সমস্যা ভেজাল ও মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যে। অবলীলায় এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আমাদের চোখের সামনেই। নকল-ভেজাল-মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য ব্যবহারের ফলে মানুষের আর্থিক, দৈহিক ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। ফলে দরিদ্রতা বাড়ে। সম্পদের সঠিক ও কার্যকরী ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছেনা যা দেশের অর্থনীতির সাথেও সম্পর্কযুক্ত। অনেক রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি যেমনঃ সরকারি হাসপাতালের ফ্রী ওষুধ, উপজেলায় সরবরাহকৃত বীজ ও সার প্রভুতি চুরি হয়ে যাওয়াও নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু এর কি কোন প্রতিকার নেই? অন্যদিকে, পৃথিবীর প্রায় সব উন্নত দেশেই, এমনকি আমাদের দেশেও নকল-ভেজাল-মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য ভেরিফিকেশনের জন্য হলোগ্রাম, স্টিকার, স্ক্যানার, আরএফআইডি ট্যাগ, বারকোড ইত্যাদি সিস্টেম চালু আছে। কিন্তু এই সল্যুশন গুলোর কোনটাই আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বাস্তবসম্মত নয়। অনেক ক্ষেত্রেই অকার্যকর, দামি এবং কষ্টসাধ্য যা সবার বোধগম্য নয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে হলোগ্রাম বা স্টিকার গুলোকে অনেক সহজেই নকল করা যায়, গ্রাহক কোনোভাবেই আসল থেকে নকল আলাদা করতে পারেনা।

আমাদের উদ্যোগটির মাধ্যমে প্রতিটি পণ্যের প্যাকেজিং-এ কিংবা পণ্যের গায়ে একটি করে ইউনিক হিডেন র‌্যান্ডম নাম্বার (Unique Hidden Random Number) স্টিকার/ প্রিন্ট করা থাকবে ঠিক যেমনটা মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার কার্ডে থাকে। প্রতিটি কোড হবে একটি আরেকটির থেকে আলাদা। গ্রাহক পণ্য কেনার আগে হিডেন র‌্যান্ডম নাম্বারটির আবরণ স্ক্রাচ করে/ঘসে তুলে একটি নির্দিষ্ট নাম্বারে মোবাইল ফোন ভিত্তিক এসএমএসের মাধ্যমে আমাদের সার্ভারে পাঠাবে। আমাদের প্রিন্টকৃত হিডেন র‌্যান্ডম নাম্বারগুলো শুধুমাত্র আমাদেরই সার্ভারে সেভ করে রাখা থাকবে। গ্রাহকের এসএমএসের নাম্বারটি আমাদের সার্ভারে সংরক্ষিত নাম্বারের সাথে মিল কিংবা অমিল ডিজিটালি যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে গ্রাহককে পণ্যটি আসল না নকল এসম্পর্কে প্রকৃত অবস্থা জানানো হবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্যও সনাক্ত করা যাবে। পণ্যটির যে মেয়াদ সেই মেয়াদকাল অনুযায়ী হিডেন র‌্যান্ডম নাম্বারগুলো আমাদের সার্ভারে সংরক্ষণ করলে এবং উক্ত সময় পর নাম্বারটি অটোম্যাটিকেলি আমাদের সার্ভার থেকে মুছে গেলে গ্রাহক আমাদের প্রিন্টকৃত র‌্যান্ডম নাম্বার এসএমএস করলেও তা আমাদের সার্ভারে সেভ না থাকায় গ্রাহক নকল বা মেয়াদউত্তীর্ণ শিরোনামে ফিরতি মেসেজ পাবে। কে, কি , কখন, কোথায়, কেন কিনছে, কোথায় কোন পণ্যের ব্যবহার বাড়ল না কমলো; কোথায় নকল-ভেজাল পণ্য ধরা পড়ছে- প্রভৃতি জানা যাবে।