প্রকল্প সমূহ

স্মার্ট হোল্ডিং অ্যাসেসমেন্ট ও ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
নিরাপদ নৌযাত্রা

ফসলের মাঠ ও ফসলের হাট


কৃষকের শ্রমে-ঘামে অর্থনীতির চাকা সচল থাকলেও তারা নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন কিংবা বঞ্চনার শিকার হন। অজ্ঞতার কারণে আধুনিক এই যুগেও তাদের ফসলের পরিমাণ অনেক কম, আধুনিক চাষাবাদ প্রণালী নিয়ে জ্ঞান সীমিত, নির্ধারিত ফসলের মৌসুমী ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি এবং বাজারজাতকরণে সীমাবদ্ধতা। এর কারণে কৃষি পণ্যে দামের উঠানামা হয় অনেক, ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষক ও সাধারণ ক্রেতা এবং বাধাগ্রস্থ হয় জাতীয় অর্থনীতি। কৃষককে ফসল ফলানোর তথ্য দিয়ে সহায়তা এবং অনলাইনের মাধ্যমে ফসল বিক্রি করার প্রকল্প ‘ফসলের মাঠ ও ফসলের হাট’।

চিহ্নিত সমস্যা এবং প্রস্তাবিত সমাধান

আমাদের দেশে হাজারো ফসল ফলে এবং লাখো কৃষকের শ্রমে-ঘামে আমাদের কৃষিনির্ভর অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কৃষকেরা মারাত্মক ক্ষতির শিকার। আধুনিক এই যুগেও তাঁদের ফসলের পরিমাণ অনেক কম, আধুনিক চাষাবাদ প্রণালী নিয়ে জ্ঞান সীমিত, নির্ধারিত ফসলের মৌসুমী ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি এবং বাজারজাতকরণে সীমাবদ্ধতা। এর কারণে কৃষি পণ্যে দামের উঠানামা হয় অনেক, ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষক ও সাধারণ ক্রেতা এবং বাধাগ্রস্থ হয় জাতীয় অর্থনীতি।

ফসলের মাঠ ও ফসলের হাট প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সফটওয়্যারে থাকছে ৪৮৯টি উপজেলার প্রত্যেকটির জন্য বিএআরআই কর্ত্রিক আবিষ্কৃত বাংলাদেশে উৎপাদন উপযোগি কমপক্ষে ৪৭৯টি উচ্চফলনশীল জাতের সম্পুর্ণ চাষাবাদ পদ্ধতি লিপিবদ্ধের সুযোগ। অর্থাৎ এক সফটওয়্যার দিচ্ছে ৪৮৯ * ৪৭৯ = ২,৩৪,২৩১ টি আলাদা আলাদা চাষাবাদ পদ্ধতি লিপিবদ্ধের সুযোগ থাকবে। এই চাষাবাদ প্রণালী নির্ধারিত ফসলের চাষাবাদ রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ বাংলায় কৃষকের মোবাইলে পৌঁছে যাবে। ফলে কৃষকের ফলন বাড়বে, কমবে ক্ষতির শঙ্কা। ফলনের সময় কৃষকের সম্ভাব্য ফলনের পরিমাণসহ পুরো তথ্য চলে যাবে একটি অনলাইন হাটে। ফলে কমবে বাজারজাতকরণের সীমাবদ্ধতা।